রানী বাংলা ছবিতে অভিনয় করছেন?
রানী মুখার্জি
বলিউডের রানী মুখার্জি বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করছেন—বছরখানেক ধরেই খবরটি শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি পরিচালক নারগিস আক্তারের বরাত দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, বাংলাদেশে শাবানার ছবিতে অভিনয় করবেন রানী।
খবরটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ২৩ অক্টোবর রানী মুখার্জির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও প্রযোজক তোচন ঘোষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তোচন ঘোষ বলেন, ‘রানী বাংলা ছবিতেই অভিনয় করবেন না। কলকাতার বহু ছবিতে তাঁকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রানী সবাইকে ‘‘না’’ বলেছেন।’
তিনি রানীর মামা মৃগেল রায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। পরে মৃগেল রায় রানীর সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে কারও সঙ্গেই রানীর চূড়ান্ত কথা হয়নি। আর এ মুহূর্তে তিনি বাংলা ছবিতে অভিনয়ের কথা ভাবছেন না। রানী এখন হিন্দি ছবির শুটিং আর স্টেজ শো নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত আছেন।’
এ ব্যাপারে নারগিস আক্তারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘রানীর সঙ্গে আমার কোনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। একদিন মুঠোফোনে আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁকে সংক্ষেপে ছবির গল্পটি শুনিয়েছিলাম। আগামী ১০ নভেম্বর আমি ও প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক ভারতের মুম্বাই যাব। রানীর সঙ্গে কথা বলব। এরপর নিশ্চিত করে বলতে পারব, রানী বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করবেন কি না।’
ঢালিউডের ছবিতে স্নেহা উলাল
স্নেহা উলাল
চেহারা তাঁর অনেকটা নাকি ঐশ্বরিয়া রাইয়ের মতো। লাকি: নো টাইম ফর লাভ ছবিতে সালমান খানের সঙ্গে অভিনয় করে ‘ঐশ্বরিয়া টু’ বলে খ্যাতি পেয়েছিলেন। এরপর তিনি বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণি ছবিতেও অভিনয় করছেন। স্নেহা উলাল এবার বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করবেন। ছবিটি নির্মাণ করছেন অনন্য মামুন। ছবির নাম মোস্ট ওয়েলকাম। পরিচালক জানান, ২০ অক্টোবর ছবিটিতে অভিনয়ের ব্যাপারে স্নেহা উলালের সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছে।
গতকাল শনিবার দেশে ফিরে মামুন বললেন, ‘স্নেহা উলালকে চুক্তি করাতেই ভারতের মুম্বাই গিয়েছিলাম। সেখানে সবকিছু চূড়ান্ত করে ফিরেছি। আগামী নভেম্বর মাস থেকে ছবিটির শুটিং করব মালয়েশিয়ায়। ডিসেম্বরে হবে বাংলাদেশে। ওই সময় স্নেহাও বাংলাদেশে আসবেন।’
মামুন জানান, ছবিতে স্নেহা একজন দুর্নীতিবাজ বাবার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন। বাবা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও মেয়ে চায় সৎ ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে। এ সময় স্নেহা এক বন্ধুর সন্ধান পায়। এই বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের অনন্ত।
সত্যিই যদি এমন হতো
জাতীয় নাট্যশালায় গতকাল কলকাতার ‘অন্যপেশা নাট্যনেশা’ নাট্যদল মঞ্চস্থ করে আব্বুলিশ নাটকটি
তখনো দর্শকদের জন্য প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত হয়নি। তাই বাইরে বসেই আড্ডায় মশগুল নাটক দেখতে আসা দর্শকেরা। আড্ডার বিষয়ও বাংলাদেশের নাটক। বাংলাদেশের মঞ্চনাটক নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত আশাবাদী। তাঁদের মতে, এমন কিছুদিন পরপরই দেশ-বিদেশের দল নিয়ে নাট্যোৎসব হওয়া উচিত। শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় থিয়েটার আরামবাগের নাট্যোৎসবে গতকাল রোববার সন্ধ্যার দৃশ্য এটি।
কাল উৎসবে ছিল কলকাতার নাটকের দল ‘অন্যপেশা নাট্যনেশা’র নাটক। তারা মঞ্চস্থ করে জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায়ের নাটকআব্বুলিশ। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সমীর ব্যানার্জি।
নাটকের কাহিনিটি এমন—সত্যপ্রিয় চৌধুরী একজন আইনজীবী। তাঁর মেয়ে প্রিয়া মিথ্যে কথা বলে বন্ধুকে নিয়ে নাচের স্কুলের অনুষ্ঠানে যায় এবং প্রায়ই ধরা পড়ে। বাসায় মিথ্যে বলায় মেয়েকে প্রচণ্ড বকেন সত্যপ্রিয়। এরপর প্রিয়া তাঁর জন্মদিনে খসে পড়া তারা (উল্কা) দেখে কামনা করেছিল বাড়িতে আর কেউ যেন কোনো দিন মিথ্যে কথা বলতে না পারে। শিক্ষকের কাছে সে শুনেছিল, খসে পড়া তারা দেখে কোনো কামনা করলে সেটি ফলে। এর পর থেকে আদালতে নিত্যদিন মিথ্যে বলে যাওয়া আইনজীবী সত্যপ্রিয় আর মিথ্যে বলতে পারেন না। বাড়িতে পড়ে যায় হুলস্থূল অবস্থা। সত্য আর মিথ্যের দোটানায় পড়ে যায় বাড়ির সব সদস্য, এমনকি বাড়িতে আসা অতিথিরাও। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনি।
হাস্যরসের মধ্য দিয়ে কলকাতার এই নাটকের দলটি তুলে ধরেছে এমন এক প্রশ্ন—আসলে কে সত্যবাদী, কে মিথ্যেবাদী? আর দর্শকদের মনে হয়েছে, আহা! সত্যিই যদি এমন হতো, কোনো খসে পড়া তারা দেখে পূর্ণ হতো মানুষের মনোবাসনা।
শামসুর রাহমান স্মারকগ্রন্থ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমী শামসুর রাহমান স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করেছে। গতকাল রোববার স্মারকগ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয় একাডেমির সেমিনার কক্ষে। এতে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর ও অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
সভাপতির ভাষণে কবীর চৌধুরী বলেন, বিশ্বসাহিত্যকে স্বদেশের সাহিত্যের সঙ্গে এক করে উপস্থাপন করেছেন কবি শামসুর রাহমান। তিনি একাধারে সমকালের কবি, প্রকৃতি ও প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি, চিরকালের কবি। স্বাগত বক্তব্যে একাডেমীর মহাপরিচালক জানান, শামসুর রাহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলা একাডেমী প্রকাশিত শামসুর রাহমান স্মারকগ্রন্থের অধিকাংশই তরুণ লেখকদের নতুন লেখা।
বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর বলেন, শামসুর রাহমান তাঁর কবিতার মাধ্যমে সবাইকে স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, শামসুর রাহমান স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করে বাংলা একাডেমী একটি দায়মুক্তির কাজ করেছে। এতে তরুণ প্রজন্মের চোখে শামসুর রাহমানকে বোঝার ও তাঁর কর্মের মূল্যায়ন করার প্রয়াস সৃষ্টি হবে।
লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ পুরস্কার পেয়েছে ঊষালোকে
ঢাকা থেকে প্রকাশিত মোহাম্মদ শাকেরউল্লাহ সম্পাদিত ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা ঊষালোকে ‘লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ পুরস্কার-২০০৯’ লাভ করেছে। কথাসাহিত্যিক আবু ইসহাকের উপন্যাসপদ্মার পলিদ্বীপ নিয়ে প্রকাশিত ঊষালোকের জুলাই-সেপ্টেম্বর-২০০৯ সংখ্যাটি গত বছরের শ্রেষ্ঠ লিটলম্যাগ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ঢাকার ‘লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ’ এই পুরস্কার দেয়। আগামী নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারটি হস্তান্তর করা হবে। পুরস্কার হিসেবে মানপত্র, ক্রেস্ট ও ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
ঊষালোকের সম্পাদক মোহাম্মদ শাকেরউল্লাহ জানান, ঊষালোকে ১৯৯০ সালে সুইডেনের গোথেনবার্গ থেকে ‘উত্তরাপথ’ পুরস্কার এবং ২০০৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হওয়ার পর ঊষালোকের প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেলেও পরবর্তী সময়ে ২০০১ সাল থেকে নব পর্যায়ে পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত রয়েছে।
No comments:
Post a Comment